নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সালথার ঘটনার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে এবং সামাজিক গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িক বিষধর সাপের বিষদাঁত এখনই ভেঙে দিতে হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজনে একাত্তরের ন্যায় ঘাতকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
বৃহস্পতিবার ( ৮ এপ্রিল) ফরিদপুরের সালথায় গুজব ছড়িয়ে তাণ্ডব চালানোর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সালথার ঘটনা একবারে অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা মানা যায় না। জনগণকে বিভ্রান্ত করতে স্বাধীনতা বিরোধীরা উঠে পড়ে লেগেছে। এদেরকে দমন করতে হবে।
সালথার জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সালথার জনগণ যেভাবে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ঝাপিয়ে পড়েছিল, দেশকে স্বাধীন করেছিল। বাচ্চু রাজাকারের দমন পীড়ন, মা-বোনদের নির্যাতনও তাদের দমাতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। সেজন্য সাজেদা চৌধুরীর উদ্যোগে সালথার জনগণের অবদানস্বরুপ সালথাকে নতুন উপজেলা দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। নতুন উপজেলা কমপ্লেক্স, নতুন নতুন ভবন, অবকাঠামোসহ এখানে ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনার এসব উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সালথা, নগরকান্দার জনগণ আপনারা কি উন্নয়ন চান না? যদি উন্নয়ন চান তাহলে উন্নয়নে যারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাদের একাত্তরের ন্যায় প্রতিরোধ করতে হবে।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে আপনারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। কাজেই এখনও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ডাকে সাড়া দিয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। কোনো বিভ্রান্তিতে পা দেয়া যাবে না।
ছাত্রলীগের সাবেক এ নেতা বলেন, সালথা ও নগরকান্দার মানুষ শান্তিপ্রিয়। কাজেই এখানকার মানুষ মুসলমানরা আযানের ধ্বনিতে সেজদায় নত হবে, হিন্দুরা পূজার সময় পূজা করবে, যার যার ধর্ম সে পালন করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখবে।
এসময় পরিদর্শন দলে আরো উপস্থিত ছিলেন ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ এমপি, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এস এম কামাল ও মির্জা আজম।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ এপ্রিল) সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা বাজারে লকডাউনের কার্যকারিতা পরিদর্শনে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারুফা সুলতানা খান হিরামণি। এ সময় সহকারী কমিশনারের উপস্থিতিতে মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে।
পরে হেফাজতের জনৈক এক আলেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এমন গুজব ছড়িয়ে সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ উপজেলা চত্বরে দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রবেশ করে বিভিন্ন সরকারি দফতর ও থানায় হামলা ও ভাঙচুর চালায়।